২৪জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি

উখিয়ায় ডায়রিয়া রোগীর প্রাদুর্ভাব আশংকাজনক

বিশেষ প্রতিবেদক ◑
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ তাদের হাট বাজারগুলোতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের কারনে কক্সবাজারের উখিয়ার ডাইরিয়া রোগ ছড়িয়ে পড়েছে মহামারি আকারে।

বুধবার সকালে মুমুর্ষ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে ২৪জন ডাইরিয়া রোগী।

এ নিয়ে গত ১১দিনে ১৬২জন ডাইরিয়া রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে যাদের অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিক বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

উখিয়ায় বসবাসরত ৮লক্ষ রোহিঙ্গা আড়াইল লক্ষ স্থানীয়সহ সাড়ে দশ লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রতিষ্ঠান উখিয়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ ও ইনডোর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায় পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। তবে ডাইরিয়া রোগীদের কারনে কিছুটা এলোমেলো অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

জরুরী বিভাগে কর্মরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার রহমত উল্যাহ জানায়, শীতকালীন সময়ে ডাইরিয়া রোগীর যেকোন সময়ের তুলনায় বেশি থা‌কে।

এর কারন জানতে চাইলে ওই চিকিৎসক জানান, ঠান্ডা, অস্বাস্থ্যকর প‌রি‌বেশ খাবার ও পানিবাহিত রোগের কারনে এই ডাইরিয়া দেখা দেয়। এ সময় রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা না হলে অবস্থার চরম অবনতি হয়।

তিনি বলেন, বুধবার সকালে ২৪জন ডাইরিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা।

হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সঞ্চয় দাশের তথ্য মতে, এ মাসে ১১দিনে ১৬২জন রোগী মুমুর্ষ অবস্থায় ভর্তি হয়েছে। বহি বিভাগে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে শত শত ডাইরিয়া রোগী। হাসপাতালে চিকিৎধীন ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোহিঙ্গা রোগী মাইমুনা খাতুন (৪৫) জানায়, সে সোমবার রাতে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। ক্যাম্পের রোহিঙ্গা চিকিৎসক থেকে ঔষুধ খাওয়ার পরও অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি।

বুধবার সকালে উখিয়া হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এখানে চিকিৎসা নেয়ার পর ভাল লাগছে। এভাবে বেশ কয়েকজন রোগী চিকিৎসা ক্ষেত্রে ঔষুধ ও খাদ্য সরবরাহ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম অনেক উন্নত হয়েছে বলে মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: আব্দুল মান্নান জানান, রোহিঙ্গারা অখাদ্য, কু-খাদ্য খাওয়ার কারনে ডাইরিয়া হঠাৎ করে ছড়িয়ে পরে। যা নিয়ে চিকিৎসকদের চিকিৎসা দেওয়ার মত সময় থাকে না।

তিনি বলেন, একমাত্র রোহিঙ্গা হাট-বাজারে যেসব খাদ্য সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে তা বন্ধ করতে হবে।

এছাড়াও রোহিঙ্গাদের সর্তকতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে। তা না হলে শীতকালীন সময়ে ডাইরিয়া আক্রান্ত হয়ে মহামারী আকার ধারন করতে পারে। অবশ্য ডাইরিয়া মোকাবেলায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।